ও য়া দু দ খা ন
ফারিহা,
তুমি যখন ক্লাস সেভেনে
এতোটা পবিত্র লাগতো তোমায়
মনে হতো-
তোমাকে মানায় ঐ হেভেনে।
ভাবতাম-
তুমি বড়ো হলে
আমার নিখাদ বিশ্বাস
আর এক আকাশ ভালোবাসা
তোমার মনের সিন্দুকে জমা রেখে দেবো।
সেই তুমি-
চুপচাপ কবে বড়ো হলে জানলামই না।
অবাক হয়ে দেখলাম-
তুমি যখন ক্লাস নাইনে
অনেক আপাত সুশ্রী ছেলে
আছে তোমার লাইনে।
তোমার দিকে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকা ছাড়া
এ হাধারাম প্রেমিকের কীইবা করার ছিল?
জানো ফারিহা,
তুমি যখন উঠে গেলে ক্লাস টেনে
কতোবার ভেবেছি-
ভালোবাসা দিয়ে
তোমাকে নিয়ে আসি এ বুকে টেনে।
হঠাৎ শুনলাম-
তুমি ঢাকা চলে গেছো।
ঢাকা গিয়ে
লাল, নীল, সবুজ বাত্তি দেখে
তুমি বদলে গেলে আমূল।
প্রথম মাসেই খবর পেলুম-
তোমার হাতে এক নবাগত প্রেমিকের হাত।
দুমাস পরেই নাকি দেখা গেল অন্য আরেক যুবক।
ফারিহা,
তুমি এভাবে নষ্ট হবে
কোনোদিন ভাবিনি
এতো ভালোবাসার জলে কাটবে সাঁতার
মাথায় আসেনি।
ভার্সিটির ছয় বছরে নাকি
ডজনখানিক প্রেম হলো তোমার।
নিত্য নতুন প্রেমে
কিছু সুখে কিংবা অ-সুখে
কাটলো তোমার সময়।
সেদিনের সেই গ্রাম্য সরল বালিকা
হয়ে গেলে ঢাকার জনপ্রিয় প্রেমিকা।
আমার মতো আবালের খোঁজ
তুমি রাখবে কখন?
রাখবে কেন?
ঢাকায় আমিও ছয়টা বছর ছিলাম।
ঢাকার অলি-গলি, নর্দমায়
নোংরা ভালোবাসার পুঁজে
খুঁজে নিতে চেয়েছিলাম নিষিদ্ধ সুখ।
কিন্তু ফারিহা,
তোমার খবর রাখা ছাড়া এই আতেল প্রেমিক
আর কিচ্ছু করেনি।
জানো না তো............
আমিও তোমার মতো নষ্ট হয়ে গেছি।
তোমার অবক্ষয়ের খবর পেয়ে
বিড়ির বিচ্ছিরি ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে
আমার দুঠোঁট নিকষ কালো হয়ে গেছে।
মলিন অ্যাশট্রেতে জমা রাখি
আমার নষ্ট জীবনের বিশুদ্ধ ভালোবাসা...............
লেখা: ওয়াদুদ খান
১৯ মে, ২০১৫
সদরপুর, ফরিদপুর
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment