Showing posts with label রম্য কবিতা. Show all posts
Showing posts with label রম্য কবিতা. Show all posts

Saturday, 18 August 2018

কুরবানিও ফ্যাশন এখন | রম্য কবিতা

কু র বা নি

ও য়া দু দ   খা ন

কুরবানি আজ ত্যাগ বোঝায় না
বোঝায় তোলা সেলফি
ট্যাগ করা হয় বন্ধু-স্বজন
দেখ রে গরু কিনছি।

কুরবানি আজ হইছে ফ্যাশন
ফেবুর লাগি স্ট্যাটাস
আমার গরু এত্ত বড়ো
খাচ্ছে ভুষি, খাচ্ছে ঘাস।

কুরবানি আজ লোক দেখানো
সমাজ জুড়ে কম্পিটিশন
তোমার গরু পিচ্চি এত-
আমার গরু মোটকু ভীষণ।

কুরবানিআজ ফ্রিজমুখী
গরিব-দুখির অংশ নাই
বছর জুড়ে মাংস খাওয়া
নিয়ত ছহির বংশ নাই।

কুরবানি আর কুরবানি নাই
হয়ে গেছে ট্র‍্যাডিশান
ঋণ করে তাই- কুরবানি চাই
রাখতে বংশের সম্মান।

আজকে যারা কুরবানিতে
খাচ্ছে গরুর মাংস,
ভুলে গেছে তাদের কাছে
আছে গরিবের অংশ।

কবিতা লেখার তারিখ ও সময় 
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
সকাল: ৮:৫৪

Monday, 16 April 2018

নাই নাই নাই (দুটি বৈশাখী রম্য কবিতা)



এক.

বৈশাখী মেলা আছে,
বৈশাখী খেলা নাই।
মেলায় গিয়ে ঠেলা খেলে
তাতে মনে জ্বালা নাই।

পুলিশের তুলনায় আজ দেশে ইলিশ নাই।
বসন্ত আছে তবে সেই
কোকিল নাই।
হামলা হলেও মামলা নাই,
মামলা হলেও ভালো উকিল নাই।

গরীবের যতো দোষ,
ধনীদের দোষ নাই।
ঘুষ খাবার বেলায়
ওদের কোনো হুশ নাই। 
সুদের তুলনায় আজ দেশে
গরুর দুধ নাই।

প্রচুর নেতা আছে,
নেতার কোনো নীতি নাই।
মানুষে মানুষে কোনো প্রীতি নাই। 
দেশে পরীক্ষা আছে,
তবে পড়াশোনার গোষ্ঠী নাই।
যতো প্রশ্ন ফাঁস আছে,
দেশে ততো হাঁস নাই।

মেধা আছে, তবে কোটা নাই
কোটার খোটা ছাড়া আর চাকরি নাই।
যার আজ খালু নাই, মামু নাই
চাকরির বাজারে তার
আম-ছালা নাই।
পাছায় আজ বাঁশ আছে,
গলায় কোনো মালা নাই।

দুই. 

পকেট আছে টাকা নাই
সবার মন আছে,
তবে কারো মন আজ ফাকা নাই।
গরম আছে তবে শরম নাই।

শোক আছে, মনে সুখ নাই
প্রেম ভাংগে তাতে দুখ নাই।
নষ্ট হই তাতে কষ্ট নাই।
বাজারে লেবু আছে,
তাতে একফোঁটা রস নাই।
গরীবের কাম আছে তবে
কামের দাম নাই।
আলুর তুলনায় আজ বালু নাই।

সাধ আছ কিন্তু সাধ্য নাই। 
গরীবের চিত্ত আছে কিন্তু বিত্ত নাই।

প্রেম আজ মুখে বলে,
কিন্তু সেটা বুকে নাই।
সবাই খুব মুডে চলে,
আসলে কেউ সুখে নাই। 

ওয়াদুদ খান 
কবি ও কথাশিল্পী 

Sunday, 15 April 2018

কোটা: দাদা ও নাতির কাব্যিক কথামালা


"শুনছ নাকি ও দাদা গো, শুনছ নাকি খবর?
পোলাপানের দাবির চাপে কোটার হলো কবর!
তাই যদি হয় তুমিই বলো- ক্যামনে পাবো জব?
আমি গাধা নাই তো মেধা- ভালোই জানো সব। 
বাচ্চাগুলো দিবস-রাতি দিক না যতই খোটা
এই দেশেতে চাকরি পেতে লাগবেই আমার কোটা। 
কোটা ছাড়া যায় কি পাড়া- দাঁড়িয়ে-বসে আম?
গাছের তলায় শূন্য হাতে ঝরবে পিঠের ঘাম! 
ও দাদা গো চুপ আছ ক্যান? কিছু একটা করো- 
কোটার জন্য লাগলে আবার অস্ত্র হাতে লড়ো। 
কোটা যদি না থেকে মোর চাকরি ক্যামনে হবে?
তোমার নাতি হয়ে আমার লাভটা কী আর তবে?"

মুখ খুলে কয় দাদা এবার, "শোনো আমার নাতি, 
মেধা ছাড়া কোনো গাধার থাকবে না আর গতি।
যুদ্ধে গেছি দেশের তরে কোটার জন্য নয় রে 
দেশ পেয়েছি সব পেয়েছি এতেই মোদের জয় রে! 
পড়াশোনা করলে বেশি চাকরি ঠিকই আছে 
মেধাশূন্য বাচ্চাগুলো ঘুরছে কোটার পিছে। 
কোটা গেছে বেশ হয়েছে মজায় আছি এখন- 
এবার ঠিকই হবে পূরণ জাতির পিতার ভিশন!" 

কবি ও কথাশিল্পী 

Monday, 15 January 2018

আমরা শুধু শুনি- নেতাদের অমৃত বাণী!


নীতি নাই, তাতে কি? ঠিক নেতা হয়েছি
তেল-খেল দেখিয়ে এসি রুমে ঢুকেছি।

মোর বাণী শুনে যারা করেছিলি বিশ্বাস
করে যাব ক্ষতি শোন্ থাকতে এ নিশ্বাস।

ভোট পেতে দিন রাতে কত বলি মিছে গো
তবুও দেখি- কত গাধা ঘুরে মোর পিছে গো।

ঘুষ খেয়ে ফুলে যাওয়া এই ছিল ধান্ধা
আমজনতার শুধু সম্বল কান্দা।

আমি নেতা পাতি মারি আরামেতে বারো মাস
তোরা কেন অকারণে সারাক্ষণ চিল্লাস?

জোট হয়ে ভোট দিছো- সামনেও ভোট চাই
ভোট ছাড়া আমার আর চাওয়া-পাওয়া কিছু নাই।

গাধা তোরা নেতা মোরে বানাবি রে যতকাল
আগা-গোড়া সব আমি খেয়ে যাব ততকাল।

সামনেও আছে ভোট আমি নেতা তৈরি
দিয়ে দিও ভোটখানা হয়ো না কো বৈরী।

জনতার পিছে বাঁশ, হাতে দিছি হারিকেন
তবুও বোকা পাবলিক ফের ঠিকই ভোট দেন।

(জীবিত, মৃত কিংবা অর্ধমৃত কারও সাথে মিলে যাওয়া অনিচ্ছাকৃত, অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র)

ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
১২ জানুয়ারি, ২০

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮ তে বেরিয়েছে তরুণ কথাশিল্পী ওয়াদুদ খানের লেখার সম্পূর্ণ কমেডি উপন্যাস "ফ্যান্টাসি-২"



সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন:
০১৭৮৫-৫৬২০৮০

Sunday, 31 December 2017

নববর্ষ নিয়ে মজার কবিতা (আসুন, একটু হাসি)

ও গো নববর্ষ

হে নববর্ষ, 
তুমি তো এলেই না বলে
সারা বাংলায় নির্দয় কুয়াশা ঢেলে
Young মেয়ে, young ছেলে 
করবে fun আজ লজ্জা ফেলে


অনেকেই খাবে মদ
হবে বদ
বলবে, "করিনা কিছু care.
ফাটাফাটি Happy NEW YEAR."


কেউ অভাবে করবে শীতে কাঁপাকাঁপি
কেউ ফুর্তিতে করবে দাপাদাপি
কেউ কষ্টে বলবে, "আহারে!"
কেউ উঠবে খুশির পাহাড়ে।


এ কি তবে বর্ষবরণ?
নাকি পোলা-মাইয়াগো 
চরিত্র হরণ? 
  ছাত্রদের বলি- 
পেতে সঠিক পথের দিশা
দাও বাদ সব বাজে নেশা।


ছাড়ো বিড়ি, ছাড়ো গাজা 
করো শুরু দাঁত মাজা 
করো দূর- মুখের গন্ধ 
ধান্দা করো বন্ধ। 

বন্ধ করো এই ফালতু নাচানাচি 
গানের নামে খালি চেচামেচি 
বাদ দিয়ে দাও ফেসবুকিং 
শুরু করো - টেক্সটবুকিং।

ভুলে যাও-
অতীতের ফালতু স্মৃতি, সব গ্লানি
NEW YEAR হোক মজার, very funny.



প্রভাষক, ইংরেজি 
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর 
০১৭৮৫-৫৬২০৮০ 

Saturday, 23 September 2017

কাকা, ভালো-মন্দে মিলেমিশে এই এলাকায় থাকা

সদরপুরে আছি- 
রাতের কথা বাদই দিলাম, দিনের বেলায় মাছি। 
হালকা বৃষ্টি হলে-
রাস্তাগুলো যায় গো ডুবে তাতেই হাটু জলে। 
ক্যামনে বলো বাঁচি-
চাচার থেকে এই এলাকায় বেশি বুঝেন চাচি।
হয়েছে মোর জ্বালা- 
বাপের দেখি  নাই গো অন্ন, পোলাও খাচ্ছে পোলা। 
কী আর বলবো ভাই-
সকাল-সন্ধা-মধ্যরাতে কারেন্ট যে আর নাই। 
মেজাজ থাকে হট-
বিদ্যুতের জন্য করলে মিছিল, চাকরি হবে নট। 
আহা, কত গরম-
গা বাঁচাতে খুললে কাপড়, লাগে না আর শরম। 
কারেন্ট ছাড়াই ডিজিটাল-
আমরা কি আর মানুষ আছি, হয়েছি সব গরুর পাল। 


সিদ্দিক ভাইয়ের সাথে আড্ডারত

(বি.দ্র. সুমনা লাইব্রেরিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় গল্প করতে বসলে, সিদ্দিক ভাই বলেন, "স্যার এত কবিতা লিখেন কিন্তু সদরপুরের কারেন্ট নিয়ে কোনো কবিতা লিখেন না কেন?" আমি প্রতিদিনই বলি, "হ্যা, লিখব।" কিন্তু লেখা আর হয়ে ওঠে না। অবশেষে আজকে দোকানে বসেই লিখে ফেললাম। এটি একটি ফান পোয়েম। প্লিজ, কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না।)

ওয়াদুদ খান
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬