Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Wednesday, 3 October 2018

একদা প্রিয়তম | রোম্যান্টিক কবিতা | ট্র‍্যাজিক এন্ডিং




একদা প্রিয়তম,

তুমি কি ভেবেছো
কোনো খবর রাখিনি তোমার?
ঢাকা গিয়ে আধুনিক হয়ে
নব্য ফ্যাশনেবল প্রেমিকা পেয়ে
আমাকে ভুলে গেলেও,
আমি কিন্তু সব মনে রেখেছি।

কত স্মৃতি হারিয়েছে
বিস্মৃতির অন্ধকারে
ভুলে গেছি বান্ধবীদের নাম,
কিন্তু তোমার প্রতিটা কথা
মনের খাতায় লেখা কবিতার মতো
আজও ছন্দ তুলে
নদীর ঢেউ তুলে
দুচোখ বেয়ে বৃষ্টি নামে।

কত খবর নিয়েছি তোমার ...

শুনেছি ভার্সিটি ক্যাম্পাসে,
কিংবা বিভিন্ন পার্কে
প্যান্ট শার্ট পড়া এক মেয়ের সাথে তোমাকে
অন্তরঙ্গভাবে দেখা যায়।

তবুও
বোকা মেয়ের মতো
কতদিন সারাদিন
তোমার অপেক্ষায় থেকেছি
ভেবেছি তুমি আসবে
নীড়ে ফিরবে ।
শহর জুড়ে কাচের কোকিল
তুমি বুঝবে।

সেই দুরন্ত কৈশোরে
কিছু কবিতা
কিছু চিঠি
আর চোখ বন্ধ করে
হাতের তালুতে চুমু দিয়ে
শিখিয়েছিলে
ভালোবাসা কারে কয়?

সেই কবিতার ছন্দে
এখনো হারাই
চিঠির ভাষায়
এখনো মাতাল হই।
আলোড়িত হই
সেই চুমুর উষ্ণতায়।

আর তুমি কিনা ......???

ক্লান্ত চোখে একদিন
তোমাকে দেখলাম
ফিরে এসেছো
তবে একা নও,
সাথে তোমার লাইফ পার্টনার।
হ্যাপি কাপল।

ইতি
একদা প্রিয়তমা

লেখা: ওয়াদুদ খান 
তারিখ: ২৬ অক্টোবর, ২০১০

Monday, 1 October 2018

স্মার্ট বনলতা সেন | রোম্যান্টিক কবিতা


শোনো হে একালের জীবনানন্দ-
তুমি কি ভেবেছো কিচ্ছু বুঝি না আমি?
হ্যা, আমি জানি-
শুধু আমার জন্যেই তো 
হাজার বছর ধরে তুমি 
পথ হাঁটিতেছ পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে 
নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে। 
অনেক ঘুরেছ তুমি, 
অনেক হেটেছ তুমি। 
তুমি আজ বড্ড ক্লান্ত প্রাণ এক- 
আর নয়......... 
আর নয় একা একা হাটাহাটি।
হে নিঃসঙ্গ নিশাচর কবি 
এই দেখো পাশে আছি আমি। 
চেয়ে দেখো চারদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
দু’দন্ড নয়, অনেক শান্তি দিতে 
একগুচ্ছ গোলাপ হাতে 
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে চেয়ে  আছি  
আমি একালের স্মার্ট বনলতা সেন। 

লেখাঃ ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর।

Thursday, 16 August 2018

বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি | ওয়াদুদ খান

বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি


বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি

ইদানীং প্রকাশ্যে কাশতে ভয় পাই 
ভয় পাই হাসতেও 
কি হাসিতে, কি কাশিতে 
বিপদের আনাগোনা দেখি
বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি। 

জনাকীর্ণ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে 
জোরে কথা বলতে পারি না 
পারি না সবেগে মুতে দিতেও 
কি কথায়, কি মোতায় 
বিপদের আনাগোনা দেখি
বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি। 

তোমাদের নষ্ট নগরে প্রকাশ্যে 
গলা ছেড়ে গান গাইতে পারি না 
পারি না বিড়িতে সুখটান দিতেও 
কি গানে, কি টানে 
বিপদের আনাগোনা দেখি
বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি। 

দুঃসময়ের কবলে পড়া এই আমি- 
স্বাধীনচেতা কবি হতে পারি না
পারি না ফেসবুকে 
খিলখিল করে হাসা ছবি দিতেও 
কি কবিতে, কি ছবিতে 
বিপদের আনাগোনা দেখি
বড়ো ভয়ে বেঁচে আছি। 

১৬ আগস্ট, ২০১৮
সদরপুর, ফরিদপুর

Sunday, 22 April 2018

ফেসবুকের উদার নীল জমিনে ||| কবিতা

ফেসবুক কার কী উপকার করেছে?
জানি না। 
তবে, আমার করেছে সর্বনাশ।
আগে যেখানে চালাতাম 
কাগজের বুকে কলমের ফলা, 
এখন সেখানে চালাই
মোবাইলের বুকে
ক্লান্ত আঙুল।

সোনালি সকাল, 
রোদেলা দুপুর, 
উদাসী বিকেল, 
নিস্তব্ধ রাত, 
হাজারও জনতার মাঝেও গাঢ় নির্জনতায়  
সারাক্ষণ চোখ পড়ে থাকে 
ফেসবুকের  নীল খাতার পাতায়।

সন্ধ্যার সেই ঝাঁঝাল আড্ডা 
চলে গেছে কমেন্ট বক্সের দখলে।
কতদিন হয়ে গেল 
নীলাকাশ দেখি না।
ছুঁয়েও দেখি না- 
গল্প-কবিতার বই। 
জীবন আজ আবদ্ধ 
ফেসবুকের চার দেয়ালে।
রিয়েল লাইফে কী ঘটছে? 
জানি না আমি। 
আমার ভার্চুয়াল লাইফে
শুধু লাইক আর কমেন্টের খেলা।

আহ! ফেসবুক, 
তুমি না থাকলে,
আমার এই ভয়াবহ সর্বনাশের কথাই বা 
সবাইকে কীভাবে জানাতাম?

তাই,
বারবার হাটি ঘোরের সাথে
একই পথে ....
শুয়ে থাকি-  
ফেসবুকের উদার নীল জমিনে ....
আমার ঘুম আসে না। 
আসে কমেন্ট, শেয়ার, লাইক, রিয়্যাক্ট, 
ওয়াও, হা-হা-হা..... 

ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ 

বয়সটা ছুঁয়ে গেল পঞ্চাশ ||| রম্য কবিতা

দাড়িগুলো পেকে শেষ 
উঠে গেল সব কেশ 
বয়সটা ছুঁয়ে গেল পঞ্চাশ।




দাড়ি-গোঁফ পেকে সাদা 
বাচ্চারা ডাকে দাদা 
উঠে গেল চাপা থেকে দুই দাঁত।

রস-কষ ঠিকই আছে 
লাফ দিয়ে উঠি গাছে 
তারুণ্যে ভরে আছে মন-প্রাণ।

বয়সটা পায়ে ঠেলে
যুবাদের আছি দলে
মানি না, মানবো না বয়সের কাছে হার।

ওয়াদুদ খান
২০ মার্চ, ২০১৮

Sunday, 15 April 2018

কোটা: দাদা ও নাতির কাব্যিক কথামালা


"শুনছ নাকি ও দাদা গো, শুনছ নাকি খবর?
পোলাপানের দাবির চাপে কোটার হলো কবর!
তাই যদি হয় তুমিই বলো- ক্যামনে পাবো জব?
আমি গাধা নাই তো মেধা- ভালোই জানো সব। 
বাচ্চাগুলো দিবস-রাতি দিক না যতই খোটা
এই দেশেতে চাকরি পেতে লাগবেই আমার কোটা। 
কোটা ছাড়া যায় কি পাড়া- দাঁড়িয়ে-বসে আম?
গাছের তলায় শূন্য হাতে ঝরবে পিঠের ঘাম! 
ও দাদা গো চুপ আছ ক্যান? কিছু একটা করো- 
কোটার জন্য লাগলে আবার অস্ত্র হাতে লড়ো। 
কোটা যদি না থেকে মোর চাকরি ক্যামনে হবে?
তোমার নাতি হয়ে আমার লাভটা কী আর তবে?"

মুখ খুলে কয় দাদা এবার, "শোনো আমার নাতি, 
মেধা ছাড়া কোনো গাধার থাকবে না আর গতি।
যুদ্ধে গেছি দেশের তরে কোটার জন্য নয় রে 
দেশ পেয়েছি সব পেয়েছি এতেই মোদের জয় রে! 
পড়াশোনা করলে বেশি চাকরি ঠিকই আছে 
মেধাশূন্য বাচ্চাগুলো ঘুরছে কোটার পিছে। 
কোটা গেছে বেশ হয়েছে মজায় আছি এখন- 
এবার ঠিকই হবে পূরণ জাতির পিতার ভিশন!" 

কবি ও কথাশিল্পী 

Thursday, 8 March 2018

ফারিহা, শুধু তোমার জন্য (একটি অকবিতা)


ও য়া দু দ     খা ন

ফারিহা,
তুমি যখন ক্লাস সেভেনে
এতোটা পবিত্র লাগতো তোমায়
মনে হতো-
তোমাকে মানায় ঐ হেভেনে।

ভাবতাম-
তুমি বড়ো হলে
আমার নিখাদ বিশ্বাস
আর এক আকাশ ভালোবাসা
তোমার মনের সিন্দুকে জমা রেখে দেবো।

সেই তুমি-
চুপচাপ কবে বড়ো হলে জানলামই না।
অবাক হয়ে দেখলাম-
তুমি যখন ক্লাস নাইনে
অনেক আপাত সুশ্রী ছেলে
আছে তোমার লাইনে।

তোমার দিকে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকা ছাড়া
এ হাধারাম প্রেমিকের কীইবা করার ছিল?

জানো ফারিহা,
তুমি যখন উঠে গেলে ক্লাস টেনে
কতোবার ভেবেছি-
ভালোবাসা দিয়ে
তোমাকে নিয়ে আসি এ বুকে টেনে।

হঠাৎ শুনলাম-
তুমি ঢাকা চলে গেছো।
ঢাকা গিয়ে
লাল, নীল, সবুজ বাত্তি দেখে
তুমি বদলে গেলে আমূল।
প্রথম মাসেই খবর পেলুম-
তোমার হাতে এক নবাগত প্রেমিকের হাত।
দুমাস পরেই নাকি দেখা গেল অন্য আরেক যুবক।

ফারিহা,
তুমি এভাবে নষ্ট হবে
কোনোদিন ভাবিনি
এতো ভালোবাসার জলে কাটবে সাঁতার
মাথায় আসেনি।
ভার্সিটির ছয় বছরে নাকি
ডজনখানিক প্রেম হলো তোমার।

নিত্য নতুন প্রেমে
কিছু সুখে কিংবা অ-সুখে
কাটলো তোমার সময়।
সেদিনের সেই গ্রাম্য সরল বালিকা
হয়ে গেলে ঢাকার জনপ্রিয় প্রেমিকা।
আমার মতো আবালের খোঁজ
তুমি রাখবে কখন?
রাখবে কেন?

ঢাকায় আমিও ছয়টা বছর ছিলাম।
ঢাকার অলি-গলি, নর্দমায়
নোংরা ভালোবাসার পুঁজে
খুঁজে নিতে চেয়েছিলাম নিষিদ্ধ সুখ।
কিন্তু ফারিহা,
তোমার খবর রাখা ছাড়া এই আতেল প্রেমিক
আর কিচ্ছু করেনি।

জানো না তো............
আমিও তোমার মতো নষ্ট হয়ে গেছি।
তোমার অবক্ষয়ের খবর পেয়ে 
বিড়ির বিচ্ছিরি ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে
আমার দুঠোঁট নিকষ কালো হয়ে গেছে।
মলিন অ্যাশট্রেতে জমা রাখি
আমার নষ্ট জীবনের বিশুদ্ধ ভালোবাসা...............

লেখা: ওয়াদুদ খান
১৯ মে, ২০১৫
সদরপুর, ফরিদপুর

Monday, 11 December 2017

আমরা গরিব- রয়ে গেলাম ওদের কাছে ফেলনা! (কবিতা)


খেলনা চাই
খেলনা দাও


বাচ্চা মেয়ে মাকে ডেকে কেঁদে বলে, "ও মা, 
কত্ত সুন্দর কিনছে পুতুল পাশের বাসার ঝুমা! 
হাসে পুতুল, নাচে পুতুল, কাঁদেও পুতুল ওটা
ডাকলে তারে কথাও বলে, শুরু করে হাঁটা।
ছোঁয়া দিলে নড়ে ওঠে ঠিক আমাদের মতো
দেখলে পুতুল দূর হয়ে যায় মনের যত ক্ষত।
দাও কিনে মা ওই পুতুলটা, দাও না প্লিজ কিনে
ভাল্লাগেনা কিছুই এখন ওই পুতুলটা বিনে।"
যায় হারিয়ে গরিব মায়ের সকল কথা মুখের
সান্ত্বনা সে পায় না খুঁজে, ঝরে পানি চোখের।


বাচ্চা মেয়ে যাচ্ছে বলে, "চুপ আছ ক্যান মা? 
পুতুলটাকে দেয় না ছুঁতে পাশের বাসার ঝুমা।
দেখিয়ে আমায় পুতুলটারে দু গালে দেয় চুমা।
লাগলে তোমায় দেবো আমার পাঁচটা কয়েন জমা।
দাও কিনে মা ওই পুতুলটা, দাও না প্লিজ কিনে
ভাল্লাগেনা কিছুই এখন ওই পুতুলটা বিনে।" 
বলতে গিয়ে গরিব মায়ের কথাগুলো যায় জমে
ঝরলে অশ্রু তবেই যেন দুঃখ একটু কমে
কোলে নিয়ে বাচ্চাটাকে মা শুধু বলে এই--- 
"গরিব আমি- পুতুল কেনার সাধ্য আমার নেই। 
ধনী ওরা ওদের আছে হাজার রকম খেলনা
আমরা গরিব রয়ে গেলাম ওদের কাছে ফেলনা।
স্বপ্ন-সাধ সবই আছে নেই তো মোদের সাধ্য
রোজ অপমান ওদের কাছে হতে মোরা বাধ্য।" 
বাচ্চা মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বোঝে না সে কিছু
রোজ সকালে বৃথাই ঘুরে ঝুমার পিছু পিছু...

(আসুন, আমাদের বাচ্চাদের গরিব-অনাথ শিশুদের সাথে খেলতে শেখাই)

ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
০৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

Wednesday, 6 December 2017

জেলে (JAIL) যাচ্ছে জেলে (FISHERMAN) ! (রম্য কবিতা)

দেশে এখন হচ্ছেটা কী?
শরম লাগে- ভাবতে গেলে
রক্ষকেরা খাচ্ছে গিলে
চুরির একটু সুযোগ পেলে।
সন্ত্রাসীদের কদর ভীষণ
মাছ ভেজে খায় গরম তেলে।
আইনের ওই ফাঁকফোকরে
জেলে (jail) দেখি যাচ্ছে জেলে (fisherman)! 


ছাকিপ খোকাও হচ্ছে চরম;
অপুটাকে নরম পেয়ে
শরীরে ওর চর্বি জমা
তিনবেলা রোজ গরম খেয়ে।




নষ্ট লোকের মিষ্টি জুটে
ভদ্রলোকের জুটছে মুলা
কাজের বেলায় ঠন-ঠনাঠন
খালি ওদের সেল্ফি-তোলা।

ঘাস খেয়ে যায় আমজনতা 
বাটপারেরা খাচ্ছে হাঁস
পকেট ওদের হচ্ছে ভারী
দেশের পিছে দিচ্ছে বাঁশ।

কবি ও কথাশিল্পী 
০১৭৮৫৫৬২০৮০


Saturday, 25 November 2017

'পরোটা' খাও, দেশের 'বারোটা' বাজাও!

বোকা সোকা ছেলেটাকে আংকেল ডেকে কয়, 
"চাকুরির খোঁজে কেন জুতো-মেধা করো ক্ষয়?
এই দ্যাশ আজ শ্যাষ বুঝে গেছে পাগলেও
বাঘমামার কানে টান দিয়ে যায় ছাগলেও
গুরু খায় কিল, লাথি- গরু পায় পুজোটা!"
চুপচাপ কথা শোনে বোকা সোকা ছেলেটা। 

কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে ছেলে বলে, "আংকেল, 

মেধা ছাড়া চাকুরির জানা আছে কোনো খেল?" 
কত পড়ি, কত ঘুরি খুলে না তো মোর luck (লাক)।
চাকরির চিন্তায় চুল ঝরে হলো টাক।" 

চুন দিয়ে পান খেয়ে চাচা করে ঠোঁট লাল

"খাটি কিছু চলে না তো, চলে খালি পঁচা মাল
যদি থাকে ধৈর্য, যদি থাকে ইচ্ছা
শোনো তবে ও পাড়ার ফজলুর কিচ্ছা
টেনেটুনে মাস্টার্স করেছিল কমপ্লিট
তাতেই সে হয়েছিল মহা ফিট, মহা হিট!
এখন সে রোজ খায় মোগলাই-পরোটা,
লাউয়ের আগা খায়, খায় তার গোড়াটা 
যদিও বা বেজে গেছে স্বদেশের বারোটা।" 

"তারপর? কী গো হলো?" জিগায় ওই ছেলেটা।

"নেতা ধরে পাতি ঢেলে ঢুকেছিল কলেজে
ফজলুটা ডিজি হবে ছিল কার নলেজে?"
"ডিজি হলো! তাই নাকি? কীভাবে কি possible (পসিবল)?" 
ছেলেটার দুই চোখে দেখা মেলে নোনাজল।
"ঘুম থেকে ওঠে দেখে কলেজ ওর জাতীয় 
ফজলুরা হয়ে গেল ক্যাডারে আত্তীয়
তেল মেরে কাজ সারা ওদের কাছে easy (ইজি) গো
তাই ওরা শিক্ষার এডি, ডিডি, ডিজি গো।"


ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি
সদরপুর সরকারি কলেজ

ওয়াদুদ খানের সাড়া জাগানো উপন্যাস কষ্টকথা সাফল্যগাথা কিনতে চাইলে, অনলাইনে অর্ডার করুন এখানে (Click Here To Order Your Copy)


Friday, 15 September 2017

কুরবানিও ফ্যাশন এখন



কুরবানি আজ ত্যাগ বুঝায় না
বুঝায় তোলা সেলফি
ট্যাগ করা হয় বন্ধু-স্বজন
দ্যাখ রে গরু কিনছি।

কুরবানি আজ হইছে ফ্যাশন
ফেবুর লাগি স্ট্যাটাস
আমার গরু এত্ত বড়ো
খাচ্ছে ভুষি, খাচ্ছে ঘাস।

কুরবানি আজ লোক দেখানো
সমাজ জুড়ে কম্পিটিশন
তোমার গরু পিচ্চি এত-
আমার গরু মোটকু ভীষণ।

কুরবানি আজ ফ্রিজমুখী
গরীব-দুখীর অংশ নাই
বছর জুড়ে মাংস খাওয়া
নিয়্যত ছহীর বংশ নাই।

কুরবানি আজ কুরবানি নাই
হয়ে গেছে ট্র‍্যাডিশান
ঋণ করে তাই- কুরবানি চাই
রাখতে বংশের সম্মান!


ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত 

সদরপুর, ফরিদপুর
লেখার তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ 

Friday, 1 September 2017

নারী (যাকে অনেকেই চেনে না কোনোদিন)


নারী মানে কারো মাতা,
নারী মানে কারো ভগ্নি।
তবুও এই নারীই জ্বালায়
পুরুষ হৃদয়ে প্রেমের অগ্নি।

নারী মানে মায়া,

নারী মানে অপার মমতা।
এই নারীই রাখে
পুরুষকে ক্ষয় করার ক্ষমতা। 


নারী মানে স্নেহ,
নারী মানে অগাধ বিশ্বাস।
এই নারীই হয় ছলনাময়ী,
পুরুষের করে সর্বনাশ।

নারী মানে প্রেরণা,

নারী মানে এগিয়ে যাবার সিড়ি।
এই নারীর প্রেমানলে পুড়ে,
অনেক পুরুষ টানে গাজা, বিড়ি।

নারী হলো প্রিয়া,

নারী হলো প্রিয়া থেকে শেষে বউ।
পুরুষ হৃদয়ে নারীই তোলে
পানি ছাড়া প্রেম সাগরের ঢেউ।

নারী হলো ছন্দ,

নারী হলো ভাষা,
নারী হলো
কবির কবিতাখানি।
নারী হলো দুর্গা,
নারী হলো লক্ষ্মী।
এই নারীই মারে ছোবল,
বিষাক্ত কালনাগিনী।

লেখা: ওয়াদুদ খান
৩১ আগস্ট, ২০১৪


Tuesday, 29 August 2017

নই তো কবি

নই তো লেখক, তাই বলে কি
মনের কথা লিখবো না?
আমার মনের দহন ব্যথা
ইচ্ছে মতো আঁকবো না?


নই তো কবি, তাই বলে কি
আসবে না মোর ছন্দ?
সরবে না কি তৈরি হওয়া
মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব?

নই তো ধনী, তাই বলে কি
স্বপ্ন আমার থাকবে না?
জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি
পাবো কেবল সান্ত্বনা?

আতেল আমি, তবুও লিখি
বেতাল মনের কবিতা।
নিজের সাধে নিজেই উড়ি
ভাবুক লোকে যা খুশি তা।

ওয়াদুদ খান 
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
সদরপুর, ফরিদপুর।

Sunday, 27 August 2017

মৃত্যু (একদিন মাটির বিছানা হবে ঘর!)


চেয়ে দেখি হঠাৎ করে
আজরাইল দাঁড়িয়ে দ্বারে
নিয়ে যেতে এসেছে ও রে
প্রাণপাখি মোর জনমের তরে।

এ পৃথিবী ছেড়ে একদিন
যেতে হবে একা, সঙ্গীবিহীন
ঘুরেছি ফিরেছি আমি
ভাবিনি তো কোনোদিন!

খাটিয়া 


আজরাইলকে দেখে
বললাম ডেকে,
" ও ভাই,
যাবার ক্ষণে কিছু বলে যেতে চাই।"

একটুও দেরী  না করে
আমার গলার মধ্যে ধরে
বলে, "ব্যাটা, হায়!
তোর সময় আর নাই।"

একটু সময় না দিয়ে আমায়
দেহ হতে প্রাণপাখি নিয়ে যায়।
রওনা হলাম আজকে সেথায়
শুরু আছে, শেষ নাই কো যেথায়।

এতকাল আহা
ভেবেছিনু আমার যাহা
রইলো পড়ে তার সবই।
মূল্যহীন জিনিসেরে
দাম দিয়েছিনু খুবই।

[বি.দ্র. হাইস্কুলে যখন পড়তাম, তখন এই কবিতাটি লিখেছিলাম।]

আসুন, স্রষ্টায় (আল্লাহ) বিশ্বাসী হই। মন থেকে ঝেড়ে ফেলি অবিশ্বাসের কীট।

লেখা: ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
২২ এপ্রিল, ২০১৬