সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর 'মানুষ জাতি' কবিতার শুরুতে বলেছেন,
জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।
এই একই কবিতার আরেক জায়গায় তিঁনি বলেছেন,
দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা,
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
ফ্রান্স যখন আক্রান্ত হয়, তখনো বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। কারণ, তাঁরা মানুষ ছিল। বাংলাদেশের রামুতে যখন বৌদ্ধ মন্দিরে আক্রমণ হয়, তখনো জেগে উঠেছিল দেশ বিদেশের সকল সুশীল কারণ, বৌদ্ধরাও তো মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যখন হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয় তখনো ফুঁসে উঠেছিল সকল সুশীল। কারণ, হিন্দুরাও তো মানুষ। সাঁওতাল, গারো, চাকমা, মনিপুরী- সবাই মানুষ। সবার রক্তই লাল। তাই যখন কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়, সে সহানুভূতি পায়। মানুষের পাশে দাঁড়ায় অন্যসব মানুষ।
কবিরা কবিতায় মানুষের কথা বলে। শিল্পী তাঁর গানে মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়-
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না
ও বন্ধু....
-----------------------------
-----------------------------
মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ
লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু...
কিন্তু রোহিঙ্গারা? তাঁরা কি মানুষ? তাঁদের শরীরের রক্ত কি লাল?
মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলবিজয়ী বর্তমান শাসক অং সান সু-চি বর্বরোচিত হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিশ্ব কি এর আগে কখনো দেখেছে? একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে বৌদ্ধভিক্ষুদের সাথে নিয়ে বার্মিজ আর্মিরা রোহিঙ্গাদের ধাওয়া করেছে। নারীদের করছে ধর্ষণ, পুরুষদের করছে কতল। এমনকি শিশুদেরও নির্বিচারে হত্যা করছে বার্মিজ হায়েনারা।
তাহলে বুঝা গেল রোহিঙ্গারা মানুষ নয়।
ওরা পোকামাকড়।
ওদের মারতে কোনো অসুবিধে নেই।
ওদের হত্যা করাটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়।
কিন্তু, রোহিঙ্গারা মানুষ নয় কেন?
কেন?
কেন?
কারণ, ওরা মুসলিম।
আর ঠিক একই কারণে
ফিলিস্তিনে, ইরাকে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, আফগানিস্তানে, বসনিয়ায়, চেচনিয়ায় যখন মুসলিমরা নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে- তখনো বিশ্বব্যাপী কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না। খবরের পাতার ভেতরের দিকে ছোট্ট করে এর শিরোনাম হয়।
ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।
এই একই কবিতার আরেক জায়গায় তিঁনি বলেছেন,
দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা,
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
এই সভ্য দুনিয়ায়, যদিও অসভ্যতারই সয়লাভ চারপাশে, মানুষের সবচেয়ে বড়ো পরিচয় সে মানুষ। পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে একজন মানুষও যদি তাঁর মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তবে সকল দেশের সকল মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়াবে। এটাই প্রত্যাশিত। আমেরিকার টুইন টাওয়ারে যখন হামলা হয়, তখন সারা পৃথিবীতে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। কারণ, তাঁরা মানুষ।
নির্যাতিত রোহিঙ্গা |
ফ্রান্স যখন আক্রান্ত হয়, তখনো বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। কারণ, তাঁরা মানুষ ছিল। বাংলাদেশের রামুতে যখন বৌদ্ধ মন্দিরে আক্রমণ হয়, তখনো জেগে উঠেছিল দেশ বিদেশের সকল সুশীল কারণ, বৌদ্ধরাও তো মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যখন হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয় তখনো ফুঁসে উঠেছিল সকল সুশীল। কারণ, হিন্দুরাও তো মানুষ। সাঁওতাল, গারো, চাকমা, মনিপুরী- সবাই মানুষ। সবার রক্তই লাল। তাই যখন কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়, সে সহানুভূতি পায়। মানুষের পাশে দাঁড়ায় অন্যসব মানুষ।
কবিরা কবিতায় মানুষের কথা বলে। শিল্পী তাঁর গানে মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়-
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না
ও বন্ধু....
-----------------------------
-----------------------------
মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ
লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু...
কিন্তু রোহিঙ্গারা? তাঁরা কি মানুষ? তাঁদের শরীরের রক্ত কি লাল?
মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলবিজয়ী বর্তমান শাসক অং সান সু-চি বর্বরোচিত হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিশ্ব কি এর আগে কখনো দেখেছে? একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে বৌদ্ধভিক্ষুদের সাথে নিয়ে বার্মিজ আর্মিরা রোহিঙ্গাদের ধাওয়া করেছে। নারীদের করছে ধর্ষণ, পুরুষদের করছে কতল। এমনকি শিশুদেরও নির্বিচারে হত্যা করছে বার্মিজ হায়েনারা।
মুসলিম হওয়াই রোহিঙ্গাদের আজন্ম পাপ |
যাঁরা জীবন বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল, তাঁদের অনেকেরই সলীল সমাধি হয়েছে। এই যে এত নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ চলছে তবুও বিশ্ব বিবেক জাগছে না। বরং পত্রিকার পাতা উল্টালে দেখতে পাই, ভারতের নরেন্দ্র মোদী, চীনের হু জিনতাও, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইংল্যান্ডের তেরেসা মে- সব মহারথী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু নিধন সমর্থন দিচ্ছে।
ওরা পোকামাকড়।
ওদের মারতে কোনো অসুবিধে নেই।
ওদের হত্যা করাটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়।
কিন্তু, রোহিঙ্গারা মানুষ নয় কেন?
কেন?
কেন?
কারণ, ওরা মুসলিম।
আর ঠিক একই কারণে
ফিলিস্তিনে, ইরাকে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, আফগানিস্তানে, বসনিয়ায়, চেচনিয়ায় যখন মুসলিমরা নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে- তখনো বিশ্বব্যাপী কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না। খবরের পাতার ভেতরের দিকে ছোট্ট করে এর শিরোনাম হয়।
ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment