Friday, 28 September 2018

আগে টিভি দেখা হারাম ছিল!

ছবিটি প্রতীকী 
তখন টিভি দেখা হারাম ছিল।

মহল্লায়, পাড়ায়, গ্রামে কিংবা আরও দূরের কোনো ওয়াজ মাহফিলে গেলে- হুজুরদের বয়ানে শুনতে পেতাম। গানের সুরে দরাজ কণ্ঠে বলতেন, "টিভি দেখা হারাম, মিয়ারা। যে ঘরে টিভি থাকে, সেই ঘরে রহমতের ফিরিশতা ঢোকে না।"

যাদের ঘরে টিভি নাই, ভাবতাম তারাই সাচ্চা মুসলমান।

হারাম ঘোষণা দিলেও, এই হুজুরদেরই দেখেছি- লুকিয়ে লুকিয়ে, কখনো বা প্রকাশ্যে টিভি দেখতে।

সেকালে রমযানের তারাবি শেষ করে দৌড়ে টিভি দেখতে গিয়েছি- 'দ্যা সোর্ড অভ টিপু সুলতান' দেখতে। অবাক হয়ে দেখেছি, যে পিচ্চি হুজুরটা খতম তারাবি পড়িয়েছে, সেই হুজুর টুপি খুলে সামনে বসে আছে। আমরা পরস্পর চোখ চাওয়া-চাওয়ি করতাম। ব্যাপার কী?

সত্যি, টিভি দেখা সেকালে হারাম ছিল!

শুক্রবারের রাত্তিরে ইশার নামায কোনোওরকমে শেষ করে 'আলিফ লায়লা' যখন দেখতে যেতাম, দেখতাম যার কাছে আমরা মক্তবে আলিফ, বা, তা, ছা শিখেছি- সেই হুজুরও টিভি সেটের সামনে।

তবুও জুমার নামাযের আগে গানের সুরে দরাজ কণ্ঠে হুজুর বয়ান দিতেন, "টিভি দেখা হারাম, মিয়ারা।" টিভি দেখার মতো এত আরামের জিনিস হারাম কেন- এই প্রশ্ন খালি উঁকি দিত মনে।

একবার এক হুজুর বাসায় ঢুকে চোখ তো ছানাবড়া হয়ে গেল। একি! ২৪ ইঞ্চি কালার টেলিভিশন!

তখন টিভি দেখা সত্যি হারাম ছিল!

মোবাইল সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে টিভি দেখা কিঞ্চিৎ হালাল হতে থাকে। 'ইসলামিক টিভি' আর 'পিস টিভি' এদেশে সম্প্রচারের পর টিভি দেখা যেন হারাম থাকেনি আর।

টিভির লাইভ টকশোতে এসে এক হুজুর আরামসে বলে দিলো একদিন, "কে বলেছে টিভি দেখা হারাম, মিয়ারা? টিভি দেখা জায়েজ। সওয়াবের কাম। টিভিতে ওয়াজ নছিহত শোনা বহুত পুণ্যের কাজ।"

হুজুররা ঝাঁকে ঝাঁকে টিভিতে আসতে থাকে। টিভিতে টকশো করা হুজুরদের ওয়াজের রেটও বাড়তে থাকে দেদারসে।

ইদানীং ওয়াজের ভিডিও করে হুজুররা ইউটিউবে আপ্লোড দেন। সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করার জন্য কান্নাকাটি করেন। আমিন লিখলে সওয়াবের গল্প শোনায়। তাদের ভিডিও দেখে নাকি হেদায়েত পেয়েছে অনেক ভ্রষ্ট যুবক।

অথচ, কত অসংখ্য ইমানদার তরুণ ইউটিউবে তাদের ওয়াজ দেখতে গিয়ে ন্যাংটা নাচের খপ্পরে পড়ে যে ইমান হারালো- তাঁর কোনো খোঁজ নেই।

একদা ছবি আঁকা, ছবি তোলা, টিভি দেখা- এসব হারাম ছিল।

এখন সময়ের প্রয়োজনে নাকি সবই জায়েজ ও অবশ্য কর্তব্যও বটে।

আর তাই, যখন কোনো আলেম ইমানের জোশে ফতোয়া দিয়ে বসে, "স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা হারাম কিংবা ইউটিউবে বয়ান করাও হারাম।" তখন একালের তরুণ হুজুররা পালটা ফতোয়া দেয়, ওই আলেম পথভ্রষ্ট,  ফিতনাবাজ।

একালে টিভি দেখা যেন আর হারামের নয়; বরং বহুত আরামের কাজ!

ওয়াদুদ খান
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


বি.দ্র. কোনো হাক্কানি ওলামায়ে কেরামকে হেয় করা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়।

Wednesday, 5 September 2018

মেয়েটি অনেক বড়ো হয়ে গেছে | হৃদয় ছোঁয়া ছোটোগল্প


মেয়েটি অনেক বড়ো হয়ে গেছে
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

🔵 মোট চারপর্বের অসাধারণ হৃদয়ছোঁয়া ছোটোগল্প।
🔵 সংগ্রামী প্রতিটি নারীর জন্য এই গল্পটি অবশ্যই পাঠ্য।

(পর্ব-১)
▬▬▬
বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করে বাসায় ফিরছিল রুমা। বাসায় ফেরার আগেই বোমা পড়ল রুমার মাথায়। বলে কী সানজিদা- "রুমা, শোন। তোকে আজকে একটা ছেলে দেখতে এসেছে। ইয়া লম্বা। মোটাও মোটামুটি।"

রুমা ক্লাশ এইটে পড়ে। বয়স ১৩ বছর দুই মাস। বড়ো হওয়া কাকে বলে- এখনও ওর কাছে স্পষ্ট নয়। লজ্জায় কাউকে বলতেও পারে না- "আচ্ছা, মেয়েরা বড়ো হয় কীভাবে?"

তবে কোথাও যেন একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটে গেছে- যা তার সম্পূর্ণ অপরিচিত। এইতো মাস দুয়েক আগে ও একা একাই চুইংগাম কিনতে পাশের এক দোকানে গিয়েছিল। বাসায় ফিরতেই মায়ের চিৎকার- "হারামজাদি, কৈ গেছিলি? বাইরে যাইয়া রূপ না দেহাইলে পেটের ভাত হজম হয় না তোর। এখন বড়ো হইছস। বাইরে যাইয়া এতো হাওয়া খাওন যাইবো না।"

চোখে জল চলে এসেছিল রুমার।
অথচ, কতো অসংখ্যবার সে একা একাই ঐ দোকানটাতে গিয়েছে। পাড়ার সব ছেলেদের সাথে ক্রিকেটও খেলতো ও। আজ সব বারণ। ক্রমাগত পৃথিবীটা উড়নার আবরণে ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল ওর।

ক্লাশ ফাইভ পর্যন্ত এক সাথে ফারুক, রুবেল, আবীরদের সাথে প্রাইভেট পড়েছে রুমা। কখনো মনের ভুলেও কিচ্ছু মনে হয়নি। তিনদিন আগে আবীর একটা নোটের জন্যে রুমার কাছে এসেছিল। আবীর খুব ভদ্র ছেলে। নোট দেবার সময় স্টার জলসার একটা সিরিয়াল নিয়ে ওরা দুজন হেসেছিল। কিন্তু কী আশ্চর্যের ব্যাপার! আবীর চলে যাবার পর- কথা নেই, বার্তা নেই মা এসে কষে এক থাপ্পড় মারলো রুমার গালে, "শয়তান, বদের হাড্ডি। পোলাগো লগে তোর কিসের এত হাসাহাসি? পাড়ার লোকেরা নানান সমালোচনা করে। সে খেয়াল আছে।"

জানালার পর্দা খুলে রুমা বাইরে তাকায়। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ও। ওই যে দূরে একটা মাঠে কিছু ছেলে-মেয়ে একত্রে গোল্লাছুট খেলছে। দৌড়ে ওদের কাছে যেতে ইচ্ছে করে রুমার। মনে মনে বলে, "মা দেখো- এই তো আমি ছোটই আছি। আমি একটুও বড়ো হইনি.................."

মেয়ে বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করে সেদিন বাসায় ফিরছিল রুমা। বাসায় ফেরার আগেই বোমা পড়ল রুমার মাথায়। বলে কি সানজিদা- "রুমা, শোন। তোকে আজকে একটা ছেলে দেখতে এসেছে। ইয়া লম্বা। মোটাও মোটামুটি।"
রুমার মাথা এবং কথা দুটোই অফ হয়ে গেল। একটা ছেলে ওকে দেখতে এসেছে। "আচ্ছা, 'দেখতে আসা' কাকে বলে? আমাকে দেখার আবার কী আছে? রোজ স্কুলে যাবার পথে কত ছেলেরাই তো আমাকে দেখছে। ওহ! কী হচ্ছে এসব?"
রুমা বাসায় আজ যাবেই না।

পাশেই রুবিদের বাসা। রুবি ওর সাথেই পড়ে। রুমা রুবিদের বাসায় গেল। বসে বসে লুডু খেলছিল ওরা। হঠাৎ দেখে পাশেই ওর চাচাতো বোন, ভাবী ও প্রতিবেশি অন্যান্য মেয়েরা, "ঐ তুই পালাইয়া রইছস ক্যান? পোলাডা কিন্তু একের। সৌদি থাকে। সাত ভরি গয়না আনছে বৌয়ের লাইগ্যা। এমন আগুনের গোলার মতো পোলা খুব কম মাইয়ার কপালেই জুটে।" কেউ একজন বলল, "অনেক লেইট হইয়া গেছে। তাড়াতাড়ি রেডি করো রুমারে।"
রুমা পালাবার পথ খোঁজে। না পালাবার জায়গা নেই। একটা ছোট্ট নারীকে আঁকড়ে ধরেছে অন্য দশটা বড়ো নারী। রুমার মনে হচ্ছিল- এই ছোট্ট জীবনের বিশাল স্বপ্নগুলো শাড়ীর কফিনে ঢুকে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন?
মেয়েটি নাকি অনেক বড়ো হয়ে গেছে!
স্বপ্নশূন্য মন আর শক্তিশূন্য শরীর নিয়ে রুমা নিজেকে জিজ্ঞেস করে যায়,
"আচ্ছা, বড়ো হওয়া কাকে বলে?"

(পর্ব-২)
▬▬▬
সুদৃশ্য চেয়ারে লাল শাড়ী পরে বসে থাকা ছোট্ট মেয়ে রুমার নিজেকে কোরবানীর গরু বলে মনে হলো। দাম দর ঠিক করে যাকে কিছুদিন পরেই বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে আয়েশ করে জবাই করা হবে।

পান খেতে খেতে এক মহিলা এগিয়ে এলো রুমার দিকে। পানের পিচকি রুমার সামনে ফেলে জিজ্ঞেস করল, "এই মাইয়া কাম টাম কিছু পারো? আমাগো কাম টাম তেমুন নাই। মাত্র পাচজুনের সংসার। জামাইতো বিদেশেই থাকবানে। খালি এট্টু ভাত আর ডাউল রানবার পারলেই চলবো।" তারপর একটা হাসি দিলো- হাসির সময় পানের লালজল গড়িয়ে পড়ল ঠোঁট বেয়ে। রুমা মনে মনে বলল, "এই মহিলাটা কে? পেত্নি বলতে কিছু একটা আছে- আচ্ছা, পেত্নি কি এই মহিলাটার চাইতেও কুৎসিত?"

পাশ থেকে ভাবী এসে বলল, "এই রুমা, সালাম কর পায়ে ধরে। এইডা তোর হবু শাশুড়ি। দেখতাছস না কত ভালা মানুষ উনি।"

রুমার ঘেন্না ধরে গেল। পারলে এখনই চিৎকার করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরেকজন মধ্যবয়স্ক মহিলা এসে হাজির। "মাইয়া তোমার চুলগুলান একটু বাইর করো তো- দেহি, কতখানি লম্বা।"- বলেই মহিলাটি রুমার অনুমতি না নিয়েই মাথার ঘোমটা খুলে চুল পরীক্ষা করা শুরু করল। রুমার গা শিউরে উঠল। মহিলাটির গালে একটা কড়া থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে করছে ওর।
তারপর, আরেকজন এসে রুমার হাত, পা- এমনকি দাঁত পর্যন্ত পরীক্ষা করল। হ্যা, সব ঠিকঠাক আছে। কোরবানির গরুর কোনো ত্রুটি নেই। জবাই দেয়া যায়। তারপরেও আরেকজনের পালা- "মাইয়া তোমার নাম কী? বাবা কী কাম করে? ভাইবুন কয়জুন?"- এইসব আউল ফাউল প্রশ্ন করে যাচাই করল রুমা বোবা কিনা।

রুমার মনে অনেক প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে, "আচ্ছা, ছেলেদের কী এভাবে গরুর মতো বিয়ের সময় যাচাই বাছাই করা হয়?"

এবার দর কষাকষির পালা।
কনেকে বর পক্ষের খুব পছন্দ হয়েছে। মুরুব্বি শ্রেণির এক লোক বিড়ির ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলল, "আমাগো একের পোলাডার লাইগা এমন কচি মাইয়াই পছন্দ। যারা কলেজ ভার্সিটিতে পড়ে তাগো আমাগো পছন্দ না। তারা নাহি হেসবুক, টেসবুক চালায়। পিরিতি টিরিতি করে। বুঝেন তো- কলিকাল। ফ্রেশ মাইয়া পাওয়া খুব জ্বালা।" কথাগুলো শুনতে এতটাই অশ্লীল লাগল রুমার কাছে যে ওর বমি চলে এলো। এই লোকটা নাকি রুমার শ্বশুর হবে? ভাবা যায়।

আরেকজন মুরুব্বি কিছিমের লোক বলল, "আমাগো পোলার কুনু ডিমান্ড নাই। মেলা টেহা পয়সা, গয়না গাট্টি নিয়া আইছে। কিন্তু ছোট্ট একখান আবদার আছে আমাগো।" কী আবদার জানতে চাইলে লোকটি বলল, "একখান মোটর সাইকেল দেওন লাগবো। পোলার খুব শখ।"

মনে হয় গরুর হাট বসেছে।
অনেকক্ষন দরদামের পরে ঠিক হলো- হ্যা, ছেলে একটা মোটর সাইকেল পাবে। তবে মেয়েকে সাত ভরি স্বর্ণ নগদ দিতে হবে।
রুমার মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। যে মানুষটাকে সে চিনে না, জানে না, জীবনে দেখেওনি- তার সাথে ওর একসাথে থাকতে হবে কেন?

দিনক্ষন ঠিক হয়ে গেল।
আগামী সতের তারিখ, শুক্রবার ওর বিয়ে।
পাড়া-পড়শির মন্তব্য--- "দেখছো, মাইয়ার চেহারা ভালা অইলে কী অয়? বিদেশি টেহাওয়ালা পোলার লগে অল্প বয়সেই বিয়া ঠিক অইয়া গেল। আসলে, টান থাকতেই মাইয়াগো বিয়া দেওন ভালা। রাজরানির কপাল আমাগো রুমার!"

এখন মাঝ রাত।
চারদিকে গভীর অন্ধকার।
রুমা বসে বসে ভাবছে, "আমি পালিয়ে যাব। আসছে শুক্রবারের আগেই। যেভাবেই হোক।"
কিন্তু এই পিচ্চি মেয়ে রুমা কোথায় যাবে?
কার কাছে যাবে?
এই অসীম পৃথিবীতে রুমাদের কি থাকার এতটুকু জায়গা আছে????

(পর্ব-৩)
 ▬▬▬

- স্যার, খবর শুনেছেন?
- কোন খবর, আবীর?
- রুমার তো আজ বিয়ে। সবই ঠিকঠাক। বরপক্ষ চলে এসেছে।
- তাই তো বলি, রুমাকে কিছুদিন ধরে স্কুলে আসতে দেখি না কেন? আচ্ছা, কী করা যায় বলতো, আবীর? ওকে তো বাচানো দরকার।
- স্যার, আমরা সবাই মিলে চেয়ারম্যানের কাছে যেতে পারি।
- হ্যা। গুড আইডিয়া।

ইনি আমাদের হাকিম স্যার। 'বেক্কল মাস্টর' হিসেবেই উনি বিশেষ পরিচিত। আড়ালে আবডালে কেউ কেউ 'পাগলা স্যার' হিসেবেও সম্বোধন করে। কারণ, কিছুদিন আগে পাঞ্জাবির সাথে উনি যে পায়জামাটা পরে স্কুলে গিয়েছিলেন- সেটা উনার পাঞ্জাবির পায়জামা ছিল না। সেটা ছিল উনার বউয়ের পরার পায়জামা। বিশেষ করে ছাত্রীরা তো উনাকে দেখে হেসে কুটিকুটি। পারলে ক্লাসের বেঞ্চেই গড়াগড়ি খায়। স্যার মেয়েদের হাসি দেখে বলে, "বুঝেছি,পায়জামা তোমাদের ভালো লাগে না। ওকে, এরপর থেকে পায়জামাই পরবো না। শুধু পাঞ্জাবি পরেই চলেই আসব।" হাসির শব্দ আরও বেড়ে যায়।

হাকিম স্যার প্রাইভেট পড়ান না। দুর্বল স্টুডেন্টদের উনি ফ্রি পড়িয়ে থাকেন। জোর করে টাকা দিতে চাইলেও- উনি নেন না। এইজন্যে রোজ বউয়ের গালি খান, তবে স্টুডেন্টদের হাতের তালি পান। গালি খেয়ে, কিন্তু হাতের তালি পেয়ে উনার দিন কাটে। টিউশন ফি নেন না বলে- তথাকথিত সমাজের সচেতন নাগরিকরা উনাকে 'বলদ মাস্টর' বলে অভিহিত করেন। একটু অন্যমনস্ক টাইপের লোক হলেও,  উনি কথাবার্তা খুব গুছিয়ে বলতে পারেন। অঙ্ক বুঝাতে পারেন খুব ভালো। শুধু তাই নয়- উপস্থিত ছন্দ বানাতে উনি উস্তাদ। এই তো কিছুদিন আগে- ক্লাসের মধ্যে উনি ছন্দ ছাড়লেন এরকম: 

আমি ইট, তুমি খোয়া
আমি মুড়ি, তুমি মোয়া
তুমি শাবনুর, আমি রিয়াজ
তুমি কাচালঙ্কা, আমি পিয়াজ
আমি কান্না, তুমি হাসি
আমি যক্ষা, তুমি কাশি
আমি খাল, তুমি ব্রিজ
আমি মাছ, তুমি ফ্রিজ
আমি গান, তুমি সুর
আমি কাছে, তুমি দূর
তুমি ছাগল, আমি গরু
আমি শেষ, তুমি শুরু
আমি আপন, তুমি পর
আমি বৃষ্টি, তুমি ঝড়
তুমি চড়ুই, আমি দোয়েল
আমি দেব, তুমি কোয়েল
আমি চোর, তুমি পুলিশ
তুমি চালাক, আমি ফুলিশ
আমি কৈ, তুমি ইলিশ
তুমি মাল, আমি জিনিস
তুমি আছো, আমি ফিনিশ
তোমার চৌদ্দ, আমার তিরিশ
তুমি দামী, আমি ফাও
আমি হারাই, তুমি পাও...............

শেষ করার আগেই করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্লাসরুম। যথেষ্ট মেধাবী হয়েও- শিক্ষকতাকে জীবনের ব্রত হিসেবে বেছে নেয়ায়- অনেকেই বলেন, "হাকিম মাস্টারের জ্ঞানের অভাব আছে। বিএসএসি পাশ করেও- কেউ মাস্টারি করে।"
হাকিম স্যার খুব দ্রুত ছুটছেন। সময় বেশি নেই। এখনই- চেয়ারম্যানের কাছে যেতে হবে। তার আগে তিনি হেড মাস্টারের রুমে গেলেন।

- স্যার, আপনাকে কিছু বলবার ছিল।
- হ্যা, হাকিম সাহেব বলেন- কী বলবেন? বলুন।
- স্যার, আপনি কি জানেন- এইবার ক্লাস এইটের সবচাইতে মেধাবী কে? ছাত্র প্লাস ছাত্রীদের মধ্যে?
- দেখলে হয়তো চিনব। নামটা জানি না তো। কেন হাকিম সাহেব? কী হয়েছে।
- তার আগে বলেন- স্যার, আপনি কী চাইবেন আপনার স্কুল থেকে আপনার সবচাইতে মেধাবী স্টুডেন্টকে হারিয়ে ফেলবেন?
- না। তা তো কক্ষনো চাইবো না।
- তাহলে স্যার শুনেন- ক্লাস এইটের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী মিস রুমার আজ বিয়ে। মেয়েটির বয়স এখনো চৌদ্দও হয়নি।
- ওহ! এই ব্যাপার। কিন্তু হাকিম সাহেব- আমাদের কী করনীয়? যেখানে মেয়েটির বাবা-মা রাজি- সেখানে কী আমাদের কোনো ভূমিকা আছে?
- হ্যা স্যার, অবশ্যই আছে। আমরা শিক্ষক। আমরাও প্রতিটা ছেলেমেয়ের বাবা-মা। আমরা জাতির বিবেকও। আমরা যদি স্যার না জাগি- তাহলে সকাল তো কোনোদিন আসবে না।
- কিন্তু..................
- স্যার কোনো কিন্তু নেই। আপনি শুধু আমাকে সহায়তা করেন। আমার সাথে একটু চলেন।
হেড মাস্টার আর না করতে পারলেন না। তিনিও চললেন।

(পর্ব-৪)
▬▬▬
বরের নাম রুহিন। মোটামুটি মোটা বলে সবাই ওকে 'মোটকু রুহিন' বলে ডাকে। জিন্সের প্যান্টের ওপরে হাফ হাতা কালো-সাদা চেকের শার্ট পরে এসেছে বিয়ে করতে। তবে মাথায় মুকুট পরতে ভুল করেনি মোটকু রুহিন। বরের এই ড্রেস দেখে চোখ গোল হয়ে গেল রুমার চাচীর। জিজ্ঞেস না করে চাচী থাকতে পারলেন না, "বরের কি কান্ডজ্ঞান নাই? বিয়ার দিন পাঞ্জাবি পায়জামা পরা ছাড়া কোনো বর আসে নাকি?" উত্তরে রুহিন বলল, "আসলে হইছে কি চাচীম্মা, পরথম বিয়া তো! তাই একটু ভুল অইবার লাগছে। পরেরবারে ইংশাল্লা ভুল করব না নে।" অন্দর মহলে হাসির রোল বয়ে গেল।

দূর থেকে বিয়ে বাড়ির গান শোনা যাচ্ছে। বাঙালির রুচিবোধ কতটা বিকৃত হয়েছে তা ওই গান না শুনলে বুঝতে পারতেন না হাকিম মাস্টার। একটা নারী কণ্ঠের গান-
"তুমি দিয়ো না-কো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া.........
আমি অন্ধকারে- বদ্ধঘরে যাবো মরিয়া..............."

হাকিম মাস্টার, স্কুলের হেড স্যার, হবি চেয়ারম্যান আর দুজন পুলিশের কনস্টেবল বিয়ে বাড়িতে ঢুকছে। দূর থেকে ওদের দেখেই পেট খারাপ হয়ে গেল বরের। রুবিকে দেখেই বলল, "ও খালাম্মা, আপনাগো হাগুখানা কোন দিকে?"

টয়লেটের দরজায় সিটকিনি লাগিয়ে লম্বা একটা শ্বাস নিল বর রুহিন। গু-এর গন্ধে ভুলে গেল বিয়ের সৌরভ। বরপক্ষের অন্যান্য আত্মীয়রা আশে পাশের পাটক্ষেতে আশ্রয় খুঁজল।
বাল্য-বিবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে রুমার বাবা-মাকে বুঝানো হলো এভাবে:

অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে- মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অল্প বয়সে বাচ্চা হবার সম্ভাবনা তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। এমনকি মারা যেতে পারে নবজাতক শিশু ও তার মা। শারীরিকভাবে দুর্বল মা- জন্ম দিয়ে থাকে শারীরিকভাবে দুর্বল শিশু। সংসার জ্ঞান না থাকায়- অল্পবয়সী মেয়েরা শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে খাপ খেয়ে চলতে পারে না। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও ভাঙনের সম্ভাবনা প্রবল হয়। কুড়িতে বুড়ি হয় এমন বাল্যবিবাহিত মেয়েরাই। আর, বর্তমানে একটি মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে বাবা-মায়ের তেমন টাকা-পয়সাও লাগে না। লাগে একটু সদিচ্ছা আর সচেতনতা। সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে এবং মাসে মাসে উপবৃত্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একটা ছেলে যেমন সংসারের বাতি, মেয়েও তাই। একটা মেয়েও ধরতে পারে সংসারের হাল। কন্যা সন্তান কোনো বোঝা নয়। বরং পরিবার ও দেশের সম্পদ।

রুমার বাবা-মা তাদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হলো।
'পাগলা স্যার' হিসেবে পরিচিত হাকিম স্যারের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এলো তথাকথিত এলিট শ্রেণির মানুষের।
সমাজ হাকিম মাস্টারদের কিছু না দিলেও, হাকিম মাস্টাররা সমাজকে নিঃস্বার্থে সেবা দিয়ে যাচ্ছে অবিরাম।

"স্যালুট হাকিম স্যার! জাস্ট হ্যাটস অফ!!!" মনে মনে বলল রুমা।
কিছু ভালো মানুষের উপস্থিতিতে পৃথিবীটা কতো সুন্দর হতে পারে!
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বছর দশেক পর। 
ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় একা একা হাঁটছিলেন হাকিম মাস্টার।
হঠাৎ তিনি দেখতে পেলেন এক চব্বিশ বছরের মেয়ে তার পা জড়িয়ে ধরেছে। মেয়েটির পরনে পুলিশের ড্রেস। ব্যাজ দেখে বোঝা যায়- মেয়েটি পুলিশের এসিপি (বিসিএস ক্যাডার)।

মেয়েটি আর কেউ নয়।
সেদিনের সেই পিচ্চি মেয়ে রুমা। এক অপার্থিব ভালোলাগায় জল চলে এলো হাকিম স্যারের চোখে। মেয়েটি তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক অপূর্ব যুবককে দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলো- "উনি মিস্টার সৌম্য। ডক্টর (বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার) সৌম্য চৌধুরী। আমার হাজব্যান্ড।"

পরিতৃপ্তিবোধে নির্বাক হয়ে যাওয়া হাকিম মাস্টার মনে মনে বললেন, "মেয়েরা, যদি তোমরা জিতো, তাহলে আমরাও জিতি। জাস্ট হ্যাটস অফ....................."
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

গল্পকার: ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, সদরপুর সরকারি কলেজ
লেখকের প্রকাশিত সকল উপন্যাস পেতে:
📞📞 ☎☎ ০১৬৭৩-৫৯৪৫৭৯ ☎☎📞📞
ফ্রি পড়তে ভিজিট করুন : wadudkhan.blogspot.com

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আর নয় ডায়াবেটিসকে ভয় | Know, learn & beat Diabetes


হয়তো লেখাটি আপনার জন্যই
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আপনি কি আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন?

তাহলে শুরুতেই জেনে নিন-
ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ:
✔ হঠাৎ করে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া কিংবা হ্রাস পাওয়া।
✔ বারবার খেলেও পেটে ক্ষুধা অনুভব করা।
✔ অতিরিক্ত পানি পিপাসা বোধ করা।
✔ শরীরের কোথাও কেটে গেলে, ঘা শুকাতে দেরি হওয়া।
অথবা,
✔ আপনার বংশে যদি ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকে- যেমন: মা-বাবা, ভাই-বোনের, তবে আপনার এ রোগ হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

ডায়াবেটিস হয়েছে বলে তীব্র সন্দেহ থাকলেও, আমি দেখেছি- মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে এই ভয়ে অনেকে ডায়াবেটিস মাপার সাহস পান না। আপনার অবস্থাও যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মারাত্মক ভুল করছেন।

ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে আপনার জন্য রয়েছে নিম্নোক্ত হুমকি:
🔴 ব্রেইন স্ট্রোক
🔴 হার্ট এটাক
🔴 প্যারালাইসিস
🔴 চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ
🔴 কিডনি ডায়ালাইসিস
কি, ভয় পেয়ে গেলেন?

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
                      ডায়াবেটিস নিয়ে ভয়
                        আর নয়, আর নয় 
        Let's learn how to beat Diabetes...
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

মনে রাখবেন-
ডায়াবেটিস অনিরাময়যোগ্য হলেও, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এজন্য যা করতে হবে: 
🔵 পরিমিত খাদ্যগ্রহণ করতে হবে।
🔵 মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য যদি খেতে খুব ইচ্ছে হয়, তবে একেবারেই অল্প করে খাবেন। তবে অবশ্যই প্রতিদিন নয়।
🔵 উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
🔵 প্রতদিন নিয়ম করে কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে।
🔵 ডাক্তারেরে নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে কিংবা ইনসুলিন নিতে হবে।
🔵 মাসে কমপক্ষে একবার রক্তের গ্লুকোজ মাপতে হবে।

যে মারাত্মক ভুল কখনোই করবেন না:
🔴 ডায়াবেটিস একেবারে সেরে গিয়েছে মনে করে ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিবেন না।
🔴 বছরের পর বছর ডায়াবেটিস না মেপে একই ঔষধ সেবন করে যাবেন না৷
🔴 শুধু গাছগাছালির পাতা কিংবা রস খেয়ে, অথবা শুধু হাঁটাহাটির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন না।
🔴 দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকবেন না।
🔴 কবিরাজ, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কিংবা গ্রাম্য ওষুধের দোকানদার কিংবা কম্পাউন্ডারের পরামর্শে চলবেন না।

➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মানে দীর্ঘজীবন
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আপনি:
✔ অন্য দশজন মানুষের মতোই স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন।
✔ আপনার স্ত্রীকে পূর্বের মতোই সঙ্গ দিতে পারবেন। (ডায়াবেটিস রোগীরা যৌন দুর্বলতায় ভুগে বলে বহুল প্রচলিত)
✔ আগের মতোই প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকবেন।
✔ অন্য দশজন মানুষের মতোই ৭০ থেকে ৯০ বছর পর্যন্ত দীর্ঘজীবন পেতে পারেন।

মনে রাখবেন, মৃত্যু মানুষের হবেই। ডায়াবেটিস হলেও, না হলেও। অতএব, "ডায়াবেটিসের কারণে আমি আর বেশিদিন বাঁচবো না" মনে করা বোকামি।

⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫
              ডায়াবেটিস নিয়ে ভয় কিসের? 
                    কিসের এত দুশ্চিন্তা?
              মিষ্টি নাহয় ছেড়েই দিলাম- 
                   খেলাম নাহয় টক, তিতা...
⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫

ধর্মীয় দৃষ্টিতে ডায়াবেটিসের লাভ: 
🔵 অসুস্থতাও আল্লাহর নিয়ামত। আবার পরীক্ষাও। এ পরীক্ষায় ধৈর্যধারণ করলে, অবশ্যই পরকালে বিশেষ পুরস্কার পাওয়ার আশা করা যায়।
🔵 অল্প ভক্ষণ করলে আয়ু বাড়ে। মানুষ তাঁর জন্য প্রদত্ত রিযিক না খেয়ে মারা যাবে না। ডায়াবেটিস রোগী কম খায় বলে, তাঁর রিযিক আরও বেশি সময়ের জন্য বরাদ্ধ থাকবে।
🔵 অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ ব্যক্তির চেয়ে মৃত্যুর কথা বেশি স্মরণ করে থাকেন। হঠাৎ করে মৃত্যু বরণ করলে, অনেকক্ষেত্রে তওবা করার সুযোগ হয় না৷

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
          ডায়াবেটিস যে কারও হতে পারে।
        এ রোগ কোনও পাপের ফল নয়। 
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ডায়াবেটিস নিয়ে যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে ফোনে 📞📞📞☎☎☎ কিংবা সরাসরি যোগাযোগ করবেন। অবশ্যই, অনলাইন, ফেসবুক, ইউটিউব, বইপত্র  📚 📙📘 অথবা পত্রিকার কলাম পড়ে নিজেই কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।

(লেখাটি প্রয়োজনীয় মনে হলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করুন। লেখকের নাম অক্ষুন্ন রেখে কপি, পেস্ট করেও সেইভ কিংবা আপনার টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দিতে পারেন।)

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
লেখা: ওয়াদুদ খান
কবি ও কথাসাহিত্যিক
সদরপুর, ফরিদপুর
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

সময় থাকলে ভিজিট করুন:
http://learning-bangla.blogspot.com
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
⏺⏺⏺🎤🎤🎤 একদম ফ্রি 🎤🎤🎤 ⏺⏺⏺
ইংরেজি স্যারের বাংলা ক্লাস  করতে চাইলে পেইজটিতে 🏴🏴🏴
লাইক 👍👍👍 দিয়ে কানেক্টডে থাকুন।
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖