Sunday, 29 July 2018

মোবাইলে প্রতারণা থামছেই না | পড়ুন, জানুন ও শেয়ার করুন


ঘটনা-১
তার নাম রশিদ। 'ভ্যান রশিদ' নামেই সে বেশি পরিচিত। দিন এনে দিন খান। হঠাৎ একদিন ফোন পেলেন। ওপাশ থেকে বলা হলো, "আপনি ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছেন। কিন্তু এই টাকা উত্তোলনের জন্য কুড়ি হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে।" কারও সাথে পরামর্শ না করেই ঋণ করে পরিশোধ করলেন কুড়ি হাজার টাকা। এরপর থেকে সেই ফোন নাম্বারটি সুইচ অফ। বেচারা রশিদ অজ্ঞতা ও লোভের মাশুল এখনো দিয়ে যাচ্ছে।

ঘটনা-২   
তিনি মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। হঠাৎ ফোন আসে, "আপনি কি ফ্রি রকেট একাউন্ট খুলতে চান? তাহলে ডায়াল করুন স্টার ওয়ান টু ওয়ান স্টার জিরো ফোর...... ইত্যাদি ইত্যাদি তারপর হ্যাশ বাটনে চাপুন।" হ্যাশ বাটনে চাপ দেওয়ার পর সেই ইমাম সাহেব খেয়াল করলেন তার মোবাইল থেকে ফ্লেক্সিলোডের চার নয়শত ছেচল্লিশ টাকা নেই। বলা বাহুল্য চার ডিজিটের পিন কোড দেওয়ার কথা বলে মূলত ওই টাকা হাতিয়ে নেয়। অর্থাৎ, "ফোর নাই ফোর সিক্স" আপনার নতুন কোড যা মূলত ওই টাকার এমাউন্ট।


ঘটনা-৩ 
"হ্যালো, আপনার সিমে নতুন একটা অফার এসেছে। ৫০০০/- টাকার টক টাইম ও কুড়ি জিবি ফোর জি ইন্টারনেট প্যাকেজ পাবেন দুই মাসের জন্য। এজন্য আপনার মোবাইলে ১০০০/- টাকা রিচার্জ করতে হবে আমাদের নির্দেশনা অনুসারে।" স্মার্ট ছেলে ইমরান ভাবলো, "টাকাটা যেহেতু আমার মোবাইলেই রিচার্জ করতে হবে, তবে রিস্ক নিতে আর সমস্যা কোথায়? তবুও পরীক্ষামূলকভাবে ও ১০০/- টাকার একটি কার্ড ওদের নির্দেশনা অনুসারে নিজের মোবাইলে রিচার্জ করতে গিয়ে, টাকা ওর নাম্বারে ঢুকেনি। ঢুকেছে ওদের নাম্বারে। ১০০/- টাকা লস দিয়ে সেই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল ইমরান।

এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটছে। আমরা নিজেরা সতর্ক থাকি। অন্যদের সতর্ক করে দিই। অফার সংক্রান্ত কোনো ফোনকলে বিভ্রান্ত না হই। ঝোঁকের বশে রিকোয়েস্টিং বাটনে প্রেস না করি।

একান্ত প্রয়োজন হলে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে কথা বলতে পারি। মনে রাখবেন, ওরা কিন্তু সংঘবদ্ধ চক্র।

(বাকিটুকু শুনুন অডিওতে। ক্লিক করুন নিচের ইমেজে।)


দেখা থেকে লেখা 
ওয়াদুদ খান 
২৮ জুলাই, ২০১৮   

Wednesday, 25 July 2018

দুটি রম্য কবিতা /// ওয়াদুদ খান



(হাজারো বালক/ বালিকার মনের কথা ছন্দে ছন্দে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলাম)
১. হে বালক

হয়ে অলি          কেন এলি
আমার ছোট্ট জীবনে?
সব লুটে          এখন ছুটে
পালালি কার কাননে?

মিথ্যে বলে          হৃদয় নিলে
ছলে বলে তুমি।
ভালোবেসে          গেলাম ভেসে
চোখের জলে আমি।

রাত্রি জেগে          প্রেমাবেগে
লিখতে চিঠি কত
এখন দেখি          সবই ফাঁকি
তোমার কথা যত।

কিসের তরে          গেলে ওড়ে
আমার আকাশ ছেড়ে?
কোথায় গেলে          আমায় ফেলে
একলা রেখে ওরে?

আমি এখন          আছি কেমন
সেটা কি আর বুঝবে?
হারিয়ে গেলে          আঁধার কোলে
তখন আমায় খুঁজবে।

ওহে বালক          মনের চালক
তুমি আমার হলে না।
জনম ভরে          খুঁজে ফিরে
আমাকে আর পাবে না।

কবিতা লেখার তারিখ: ২০ আগস্ট, ২০১৬ (সন্ধ্যা)
বি.দ্র. যারা ছন্দোবদ্ধ কবিতা লেখার চর্চা করছো তাদের জন্য এই কবিতায় ভাবনার খোরাক আছে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


২. প্রিয়তমা, করো ক্ষমা
করো ক্ষমা,          প্রিয়তমা
বাসবো না ভালো আর
ভালোবেসে          গেছি ফেঁসে
লাইফটা ছারখার।

কত বাঁশ,          কত ক্রাশ
খেয়ে যাব বলো না? 
মোর কথা,           শত ব্যথা
তোমরা তো বুঝলে না।

প্রিয়তমা,          করো ক্ষমা
'ভালোবাসি' বলবো না
ভুল মতে          প্রেম-পথে
আমি আর হাঁটবো না।

আমি একা          কত ছ্যাঁকা
খেতে পারি বলো আর? 
প্রেম ফেলে          যাব চলে
ফিরবো না কভু আর।

করো ক্ষমা,          প্রিয়তমা
প্রেম-ট্রেম আর না
খাব গাঁজা,          হব রাজা
প্রেম-ট্রেম তবু না।

২২ জুলাই, ২০১৮