ঘটনা-১
তার নাম রশিদ। 'ভ্যান রশিদ' নামেই সে বেশি পরিচিত। দিন এনে দিন খান। হঠাৎ একদিন ফোন পেলেন। ওপাশ থেকে বলা হলো, "আপনি ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছেন। কিন্তু এই টাকা উত্তোলনের জন্য কুড়ি হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে।" কারও সাথে পরামর্শ না করেই ঋণ করে পরিশোধ করলেন কুড়ি হাজার টাকা। এরপর থেকে সেই ফোন নাম্বারটি সুইচ অফ। বেচারা রশিদ অজ্ঞতা ও লোভের মাশুল এখনো দিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনা-২
তিনি মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। হঠাৎ ফোন আসে, "আপনি কি ফ্রি রকেট একাউন্ট খুলতে চান? তাহলে ডায়াল করুন স্টার ওয়ান টু ওয়ান স্টার জিরো ফোর...... ইত্যাদি ইত্যাদি তারপর হ্যাশ বাটনে চাপুন।" হ্যাশ বাটনে চাপ দেওয়ার পর সেই ইমাম সাহেব খেয়াল করলেন তার মোবাইল থেকে ফ্লেক্সিলোডের চার নয়শত ছেচল্লিশ টাকা নেই। বলা বাহুল্য চার ডিজিটের পিন কোড দেওয়ার কথা বলে মূলত ওই টাকা হাতিয়ে নেয়। অর্থাৎ, "ফোর নাই ফোর সিক্স" আপনার নতুন কোড যা মূলত ওই টাকার এমাউন্ট।
ঘটনা-৩
"হ্যালো, আপনার সিমে নতুন একটা অফার এসেছে। ৫০০০/- টাকার টক টাইম ও কুড়ি জিবি ফোর জি ইন্টারনেট প্যাকেজ পাবেন দুই মাসের জন্য। এজন্য আপনার মোবাইলে ১০০০/- টাকা রিচার্জ করতে হবে আমাদের নির্দেশনা অনুসারে।" স্মার্ট ছেলে ইমরান ভাবলো, "টাকাটা যেহেতু আমার মোবাইলেই রিচার্জ করতে হবে, তবে রিস্ক নিতে আর সমস্যা কোথায়? তবুও পরীক্ষামূলকভাবে ও ১০০/- টাকার একটি কার্ড ওদের নির্দেশনা অনুসারে নিজের মোবাইলে রিচার্জ করতে গিয়ে, টাকা ওর নাম্বারে ঢুকেনি। ঢুকেছে ওদের নাম্বারে। ১০০/- টাকা লস দিয়ে সেই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল ইমরান।
এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটছে। আমরা নিজেরা সতর্ক থাকি। অন্যদের সতর্ক করে দিই। অফার সংক্রান্ত কোনো ফোনকলে বিভ্রান্ত না হই। ঝোঁকের বশে রিকোয়েস্টিং বাটনে প্রেস না করি।
একান্ত প্রয়োজন হলে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে কথা বলতে পারি। মনে রাখবেন, ওরা কিন্তু সংঘবদ্ধ চক্র।
(বাকিটুকু শুনুন অডিওতে। ক্লিক করুন নিচের ইমেজে।)
দেখা থেকে লেখা
ওয়াদুদ খান
২৮ জুলাই, ২০১৮