"চাকুরির খোঁজে কেন জুতো-মেধা করো ক্ষয়?
এই দ্যাশ আজ শ্যাষ বুঝে গেছে পাগলেও
বাঘমামার কানে টান দিয়ে যায় ছাগলেও
গুরু খায় কিল, লাথি- গরু পায় পুজোটা!"
চুপচাপ কথা শোনে বোকা সোকা ছেলেটা।
কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে ছেলে বলে, "আংকেল,
মেধা ছাড়া চাকুরির জানা আছে কোনো খেল?"
কত পড়ি, কত ঘুরি খুলে না তো মোর luck (লাক)।
চাকরির চিন্তায় চুল ঝরে হলো টাক।"
চুন দিয়ে পান খেয়ে চাচা করে ঠোঁট লাল
"খাটি কিছু চলে না তো, চলে খালি পঁচা মাল
যদি থাকে ধৈর্য, যদি থাকে ইচ্ছা
শোনো তবে ও পাড়ার ফজলুর কিচ্ছা
টেনেটুনে মাস্টার্স করেছিল কমপ্লিট
তাতেই সে হয়েছিল মহা ফিট, মহা হিট!
এখন সে রোজ খায় মোগলাই-পরোটা,
লাউয়ের আগা খায়, খায় তার গোড়াটা
যদিও বা বেজে গেছে স্বদেশের বারোটা।"
"তারপর? কী গো হলো?" জিগায় ওই ছেলেটা।
"নেতা ধরে পাতি ঢেলে ঢুকেছিল কলেজে
ফজলুটা ডিজি হবে ছিল কার নলেজে?"
"ডিজি হলো! তাই নাকি? কীভাবে কি possible (পসিবল)?"
ছেলেটার দুই চোখে দেখা মেলে নোনাজল।
"ঘুম থেকে ওঠে দেখে কলেজ ওর জাতীয়
ফজলুরা হয়ে গেল ক্যাডারে আত্তীয়
তেল মেরে কাজ সারা ওদের কাছে easy (ইজি) গো
তাই ওরা শিক্ষার এডি, ডিডি, ডিজি গো।"
ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি
সদরপুর সরকারি কলেজ
ওয়াদুদ খানের সাড়া জাগানো উপন্যাস কষ্টকথা সাফল্যগাথা কিনতে চাইলে, অনলাইনে অর্ডার করুন এখানে (Click Here To Order Your Copy)
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment